dc7e4e53-77c4-4baa-a237-55ceb8194803

বাংলাদেশে আয়কররিটার্ন এখন বাধ্যতামূলক ভাবে অনলাইনে

২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব ব্যক্তি করদাতার জন্য আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩২৮-এর উপধারা (৪) অনুযায়ী ৪ আগস্ট থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।

এখন আর বিকল্প নেই অনলাইন বাধ্যতামূলক

আগে চাইলে সরাসরি হাতে রিটার্ন জমা দেওয়া যেত, কিন্তু এখন এনবিআর স্পষ্ট করে দিয়েছে—প্রায় সব করদাতাকেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে। তাই আয় আছে? তাহলে ডিজিটাল পথে যেতেই হবে।

 কারা বাদ পড়বে (তবুও চাইলে অনলাইনে করতে পারবেন)

কিছু ব্যতিক্রম আছে—

  • সিনিয়র সিটিজেন
  • সনদপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
  • প্রবাসী বাংলাদেশি
  • মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি

তারা চাইলে স্বেচ্ছায় অনলাইনেও জমা দিতে পারবেন।

কিভাবে জমা দেবেন

আপনার দরকার হবে—

  • ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN)
  • বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর

etax.nbr.gov.bd পোর্টালে সাইনআপ করে সরাসরি বাড়ি থেকেই জমা দিতে পারবেন। বেশি কাগজপত্র আপলোডের দরকার নেই—শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্টে ব্যালান্স, সুদ, অ্যাকাউন্ট নম্বর দিলেই চলবে।

 ট্যাক্স পেমেন্টও অনলাইনে

ট্যাক্স দেওয়ার জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার, কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করা যাবে। কোনো ঝামেলায় পড়লে এনবিআর কল সেন্টার সহায়তা দেবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পরিস্থিতি অনুযায়ী লাগতে পারে—

  • বেতন সনদ
  • ব্যাংক সুদের সার্টিফিকেট
  • বাড়ি ভাড়ার চুক্তি
  • পৌরকর রসিদ
  • ঋণের সুদের প্রমাণপত্র
  • সম্পদ ক্রয়/বিক্রয়ের কাগজপত্র
  • ডিভিডেন্ড রসিদ
  • উৎসে কর কর্তনের সনদ

ট্যাক্স ছাড়ের জন্য লাগতে পারে—বিমা প্রিমিয়াম রসিদ, বিনিয়োগের প্রমাণ, জাকাত দানের রসিদ ইত্যাদি।

প্রথম দিনের চিত্র

আগে নির্দিষ্ট কিছু পেশার জন্য অনলাইন বাধ্যতামূলক করা হলে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন। এবার প্রথম দিনেই জমা পড়েছে ১০ হাজারেরও বেশি রিটার্ন।