e-return

ট্যাক্স ফাইলিং হবে একদম ঝটপট — ই-রিটার্নে ৬টি তাৎক্ষণিক বেনিফিট

এখন আর কর অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার যুগ নেই। ১০ আগস্ট ২০২৫ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য অনলাইনে ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে (কালের কণ্ঠ)। মানে, এখন থেকে রিটার্ন জমা দেওয়ার একটাই রাস্তা—অনলাইন।

কেন এটা গেম-চেঞ্জার:
১. বাড়ি বসেই রিটার্ন জমা দিতে পারবেন—অফিসে যাওয়ার দরকার নেই।
২. কর অফিসের লম্বা লাইনের ঝামেলা নেই।
৩. রিটার্ন জমা দেওয়ার সাথে সাথেই টিআইএন সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করা যাবে।
৪. রিটার্ন ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট সাথে সাথেই ডাউনলোড করার সুযোগ।
৫. জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
৬. পেমেন্ট চালান ও আগের রিটার্ন রেকর্ড সহজে হাতে পাবেন।

তবে এরও আছে কিছু ধোঁয়াশা:

  • সিস্টেম যদি ঠিকমতো না চলে, ক্র্যাশ বা গ্লিচ হলে বিপদ।
  • সবাই প্রযুক্তি-দক্ষ নয়—বয়স্ক বা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ঝামেলা হতে পারে।
  • ডেটা সুরক্ষা ও প্রাইভেসি বড় প্রশ্ন—এটা ঠিকঠাক না করলে বিপর্যয় হবে।

প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি:
আগে কাগজে সই দিয়ে, রেজিস্ট্রিতে নাম লিখে রিটার্ন জমা দেওয়ার আলাদা একটা ভরসা ছিল। ফাইল হাতে থাকত, মনে শান্তি থাকত। কিন্তু এই পরিবর্তন আসলে সেই প্রথারই আপগ্রেড—যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে দক্ষতা বাড়বে, সময় বাঁচবে, আর আস্থা বজায় থাকবে।

সোজা কথা:

  • নতুন কী? ২০২৫–২৬ অর্থবছরে রিটার্ন অনলাইনেই জমা দিতে হবে—এটাই বাধ্যতামূলক।
  • সুবিধা? একসাথে ছয়টা তাৎক্ষণিক সুবিধা—টিআইএন থেকে পুরোনো রেকর্ড পর্যন্ত সব কিছু অনলাইনে।
  • খেয়াল রাখবেন: ইন্টারনেট, টেক-নলেজ আর শক্তিশালী সিস্টেম লাগবেই।
  • শেষ কথা: পরিবর্তন মেনে নিন—এটাই ভবিষ্যৎ। তবে চোখ বন্ধ করে ভরসা করবেন না, সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা সেটা নিশ্চিত হন।